বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর প্রথম শহীদ আবু সাঈদ। আবু সাঈদ ২০০১ সালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়তেন। তিনি রংপুর জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি প্রথম কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে বুক পেতে দেন। জীবন দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বাচিয়ে রাখেন।
ছোটবেলা থেকেই আবু সাঈদ ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সংস্কৃতিক অঙ্গনে রাখেন অসমান্য অবদান। নিচে আবু সাঈদের পরিচয় সংক্ষিপ্ত আকারে।
আবু সাঈদের পরিচয় | সংক্ষিপ্ত বর্ণনা |
পিতার নাম: | মকবুল হোসেন |
মাতার নাম: | মনোয়ারা বেগম |
ভাই/বোন: | ৬ ভাই ও ৩ বোন (তিনি সবার ছোট) |
শিক্ষাজীবন | |
প্রাইমারি | জাফর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ পঞ্চম শ্রেণিতে (ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি) |
মাধ্যমিক | খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (গোল্ডেন জিপিএ-৫) |
উচ্চ মাধ্যমিক | রংপুর সরকারি কলেজ ( জিপিএ-৫) |
বিশ্ববিদ্যালয় | রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ (১২তম ব্যাচ) |
কবিতার নাম: আবু সাঈদ (উৎসর্গ: চব্বিশের প্রথম মেধা শহিদ আবু সাঈদ ভাইকে।) বুকের ভেতরে অসীম সাহস চোখে নেই কোন ভয়, অটল চরণ প্রসারিত বাহু যেন তুমি হিমালয়।
শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে:
‘আবু সাঈদের স্বপ্ন ছিল বড়, এজন্যই সে বুক পেতে দিয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মৃত্যুর পূর্বে তিনি বলেছিলেন:
‘স্যার! এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার! আপনার সমসাময়িক সময়ে যারা ছিল সবাই তো মরে গেছে, কিন্তু আপনি মরেও অমর। আপনার সমাধি, আমাদের প্রেরণা। আপনার চেতনায় আমরা উদ্ভাসিত।’
তিনি এখন বিশ্ব দরবারে এক অবিসংবাদিত ছাত্রের নাম। তার স্মৃতি বাংলাদেশের জনগনসহ পৃথিবীতে অনেকের কাছেই অমর হয়ে থাকবেন যুগের পর যুগ।